অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় ইতালি ৫৩৯ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। দেশটির কোস্টগার্ড ল্যামপেদুসা দ্বীপের নিকট থেকে শনিবার (২৮ আগস্ট) একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে । তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। এক দিনে ইতালীয় উপকূল থেকে এটিই সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসী উদ্ধারের ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাছ ধরার জরাজীর্ণ নৌকা থেকে উদ্ধারকৃত বিশাল সংখ্যক এই অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইতালির উপকূলে পৌঁছেছিলেন। অনেকেই আবার সহিংসতার চিহ্ন বহন করছেন। এদিকে ইতালির কর্মকর্তারা প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
মানবাধিকার গ্রুপ এমএসএফ (ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস)-এর চিকিৎসক আলিদা সেরাচিয়েরি জানিয়েছেন, যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক অভিবাসী লিবিয়ায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন তারা ইউরোপে প্রবেশের লক্ষ্যে নৌকার জন্য অপেক্ষা করার সময় নির্যাতনের শিকার হন।
এ নিয়ে আবার ইতালির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অভিবাসীরা লিবিয়াতে হয়তো মিথ্যা কারাবাসের শিকার হয়েছিলেন এবং কর্মকর্তারা এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন।
অন্যদিকে আবার ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস’র চিকিৎসক সেরাচিয়েরি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তর আফ্রিকার অথবা পশ্চিম আফ্রিকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। অন্যদিকে বিবিসি জানিয়েছে, অভিবাসীদের উদ্ধারের পর ইতালির কোস্টগার্ডের দু’টি নৌকা, ইতালির আর্থিক অপরাধ বিষয়ক পুলিশের একটি নৌকার মাধ্যমে অভিবাসীদেরকে ল্যামপেদুসা দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বীপটির মেয়র টোটো মারতেল্লো এ উদ্ধার অভিযানকে সাম্প্রতিকালের অন্যতম বড় অভিযান বলে বর্ণনা করেছেন।