এটিই মনে হয় বাংলার ইতিহাসের প্রথম ঘটনা, অলিম্পিকের মত এত বড় ক্রীড়া আসরে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই করলো বাংলাদেশের কোন ক্রীড়াবিদ। দল গত ইভেন্ট হারলেও পুরুষ এককে অলিম্পিক মাতিয়েছেন রোমান। নতুন করে চিনিয়েছেন বাংলাদেশকে। পুরুষ এককের রিকার্ভে শেষ ষোলতে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম সেট জিতে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় সেটটিও জিততে জিততে হেরে গেলেন। শেষ টার্গেট লক্ষ ভেদ করতে করতে পারেনি। তাই কানাডার ডুয়েনাস ক্রিপিনের বিপক্ষে হেরে অলিম্পিক থেকে বিদায় নিতে হলো রোমানের।
টোকিওতে কানাডিয়ান ক্রিসপিনের বিপক্ষে শুরুটা ছিলো দুর্দান্ত। রিকার্ভ এককের প্রথম সেটে ৯-৯-৮ স্কোর করে রোমান বোর্ডে জড়ো করেছিলো ২৬ পয়েন্ট। বিপরীতে প্রতিপক্ষের আর্চারের স্কোর ছিলো ২৮। প্রথম সেট জিতে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করে রোমান সানা।
প্রথম সেটে শুরুটা যেভাবে হয়েছিলো দ্বিতীয় সেটেও শুরু হলো সেভাবেই। প্রথম শর্টেই মারলেন ৯। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেটে রোমান হতাশ করলেন গোটা জাতীকে। দুই সেট মিলিয়ে রোমান তুললেন মাত্র ১৬ পয়েন্ট। এবার রোমানের পয়েন্ট দাড়ালো ২৫ আর ক্রিসপিনের পয়েন্ট ২৮। ৯-৯-১০ স্কোর করে রোমানের সাথে সমতায় ফেরেন ক্রিসপিন। তৃতীয় সেটেও পিছিয়ে পড়ে রোমান। তবে চতুর্থ সেটে দুর্দান্ত রোমান আবারও ঘুরে দাঁড়ায়। লড়াই হতে থাকে সমানে সমান। ৮-১০-৯ স্কোর করে তিন শর্ট থেকে রোমান তুলে নেয় ২৬ পয়েন্ট। এর ফলেই ৪-৪ সেটে সমতায় ফেরেন রোমান। পরের সেটে ঘটলো ঠিক উলটো ঘটনা কানাডার ক্রিপটন রোমানের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি মেরে জিতে নেয় ম্যাচ।
৫ সেটে রোমান মেরেছিলেন, ২৬-২৫-২৭-২৭-২৫ আর ক্রিসপিন ২৫-২৮-২৯-২৬-২৬। ফলে ৬-৪ সেটে জিতে শেষ ষোলতে উঠে যায় কানাডার ক্রিসপিন। আর অলিম্পিক থেকে বিদায় নেন রোমান।