সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছিলো “দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি”। টাইগাদের খোঁচা দিয়েই লিখেছিলো এমন কথা। সেই খোঁচার জবাব মাঠেই দিয়েছে টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে আবারও লিড নিলো বাংলাদেশ। আফিস-সোহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সফরকারিদের কাবু করলো টাইগাররা।
মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১২২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া সৌম্য, ব্যর্থ হলেন এই ম্যাচেও। স্টার্কের বলে শূন্য রানেই মাঠ ছাড়েন তিনি। সৌম্যের সাথে তাল মিলিয়ে দলীয় ২১ রানে হ্যাজেলউডের বলে মাঠ ছাড়েন নাইম। বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
পরে শেখ মেহেদী হাসানকে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর তারকা সাকিব আল হাসান। দুজন মিলে জুটি গড়েন ৩৭ রানের। তবে বেশি দুর যেতে পারেননি মিস্টার অলরাউন্ডার। ব্যক্তিগত ২৬ ও দলীয় ৫৮ রানে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে অজিদের স্বস্তিতে ফেরান ট্রয়।
ব্যাট হাতে দলের দায়িত্ব নিতে পারেননি রিয়াদও, এ্যগারের বলে দলকে বিপদে ফেলে রিয়াদ ফেরেন শূন্য রানে। বাংলাদেশ পরিণত হয় ৪ উইকেটে ৫৯। দলের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৮ রান যুক্ত করেই জাম্পায় কাবু মেহেদী হাসান। অজি এই স্পিনারের বলে ডাউন দ্যা উইকেটে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ইয়াংস্টার। জয়ের আশা আরও একটু ঝাপসা হয় টাইগারদের।
তবে বুক চিতিয়ে লড়েছেন নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেন। দুই জুনিয়র টাইগার মিলে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের নামিয়ে আনেন মাটিতে, গড়ে তোলেন ৫৬ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত দুই জুনিয়রের হার না মানা ব্যাটিংয়েই টানা দ্বিতীয়বারের মত অজিদের হারতে হলো বাংলাদেশের কাছে। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে লিড নিলো বাংলাদেশ। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। আর সোহান ২২ রানে। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই দলের শেষ ছয় দেখায় ৪-২ এ সমৃদ্ধ হলো পরিসংখ্যান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১২১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজ আর দুই উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম।