যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় নিজের গ্রোসারি শপে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রাথমিকভাবে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে।
নিহত আবু সালেহ মাহফুজ আহমেদ (৫৯) এর বাড়ি নোয়াখালীর হরিনারায়নপুরে। ১২ বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় জর্জিয়া স্টেটের বাংলাদেশী অধ্যুষিত আটলান্টা থেকে ৫০ মাইল দূর আকোয়ার্থ ওক্স ড্রাইভে নিজের গ্রোসারি স্টোর ‘কুইক ই-মার্টে’ কর্মরত অবস্থায় মাহফুজকে গুলি করে হত্যা হয়।
মুখোশধারী এক দুর্বৃত্ত ওই স্টোরে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ক্যাশ কাউন্টার তছনছ করে নগদ অর্থ লুটে নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বন্দুকধারী দুর্বৃত্ত ব্লু নিশান সিডেন ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করে।
ঘাতক সন্দেহে আটক মারকাস ব্যাস।ঘাতক সন্দেহে আটক মারকাস ব্যাস।খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এসে মেঝেতে মাহফুজের রক্তাক্ত মৃতদেহ পায়।
ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তের শুরুতেই বৃহস্পতিবার ঘাতক সন্দেহে মারকাস ব্যাস নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোব কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছাড়াও ছিনতাই, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি এবং মালামাল লুটের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহত মাহফুজের ভাই নিজামউদ্দিন জানান, তার ভাই মাহফুজের ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। তিনি স্ত্রী, মা-বাবা এবং ভাইসহ আটলান্টাতেই বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার আটলান্টার একটি মসজিদে মাহফুজের জানাজা শেষে সেখানকারই এক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মাহফুজের এই মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জর্জিয়া স্টেটের সিনেটর শেখ রহমান।
তিনি মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপনের পর কম্যুনিটির নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা আরও সরব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
ঘাতক গ্রেপ্তারের সংবাদ জেনে সিনেটর রহমান স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে কোব কাউন্টি পুলিশ সর্বসাধারণের সহায়তা চেয়েছে।