১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার

পালিয়ে যেতে চাচ্ছেন ছোট মেসি

Advertisement

মেসির জার্সি পড়ে ছুটে বেড়ানো সেই ছোট্ট মুর্তাজা তালেবানদের ভয়ে পালাতে চাচ্ছেন আফগানিস্তান থেকে। ছোট্ট এই মর্তুজাকে চেনেন না ফুটবল বিশ্বে এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে।২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিও। যেখানে এই খুদে ফুটবলার আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসির জার্সি পরে ছুটে বেড়াচ্ছিলো। তার শরীরে যে জার্সি পড়া ছিলো সেটি কাপড়ের ছিলো না, ছিলো প্লাস্টিক ব্যাগের।

আহমাদির বয়স যখন পাঁচ তখন থেকেই মেসির ভক্ত ছিলেন তিনি। তবে তার পরিবারের সমর্থ ছিলো না এক টুকরো কাপড় কিনে তাকে মেসির জার্সি বানিয়ে দেওয়ার। আহমাদির ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ামেসির চোখে পড়ে এর পরেই কাতারের দোহায় বার্সেলোনার এক প্রীতি ম্যাচ চলাকালে মুর্তাজা আহমাদিকে আফগানিস্তান থেকে উড়িয়ে নিয়ে যান মেসি। মেসির হাত ধরে আহমাদির আল আহলির মাঠে নামার সেই ভিডিও আর ছবি ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে।

সেই ছোট্ট মুর্তাজা আহমাদির বয়স এখন ১০ বছর তার বসবাস কাবুলে। তবে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তারেবানদের হাতে আসার পর থেকেই তিনি রয়েছে আতঙ্কে। পালিয়ে যেতে চাইছেন দেশ ছেড়ে।

সংবাদ সংস্থা ইএফইকে আহমাদি বলেছে, ‘আমি ঘরে আটকা পড়ে আছি এবং তালেবানদের ভয়ে বাইরে বের হতে পারছি না। আফগানিস্তান থেকে অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে যেতে চাই। দয়া করে আমাকে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচান।’

আহমাদির এমন শঙ্কার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তালেবানের প্রথম উত্থানে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত। তাই এবারও আতঙ্কে তটস্থ তার সম্প্রদায়। তালেবানরা তাদের গ্রামে আসছে শুনে ভয়ে দুই মাস আগে কাবুলে আসে আহমাদির পরিবার। তখন তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাদের। কিন্তু এখন আর সেটি পাচ্ছেন না তারা। কারণ এখন কাবুলই তালেবানের দখলে।

মুর্তাজার বোন ২২ বছর বয়সি মাহদিয়া আহমাদি বলেন,‘কাবুলে কোনো পুলিশ বা সৈন্য আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে না। যখন দরজায় কেউ আওয়াজ করছে, মুর্তাজা ভয়ে ছুটে আমার কাছে বা মায়ের কাছে লুকায়। আমাদের কী হবে? আমরা হুমকির মধ্যে আছি। ’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement