১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার

আফগানিস্তানফেরতরা দেশে ঢুকলেই গ্রেফতার

Advertisement

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আহ্বানে যারা হিজরত করতে দেশ ছেড়েছেন তাদের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে কতজন আফগানিস্তানে গেছে এবং সেখানে কতজন অবস্থান করছে এসব তথ্য আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের কাছে থেকেই পাওয়া যায়। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমাদের বলা হয়নি এতজন বাংলাদেশিও তাদের দেশ থেকে পালিয়ে গেছে বা আটক হয়ে কারাগারে। তবে এসব নিয়ে যারা দেশে কাজ করে তারা সচেতন রয়েছে। যদি আফগানিস্তান ফেরতরা বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেয়ার পরই তালেবানরা ঘোষণা করবে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র, আমেরিকাকে যুদ্ধে পরাজিত করে আফগানিস্তানকে স্বাধীন করেচে। এ প্রেক্ষাপটে যুবকদের ভেতর যারা কথিত জিহাদ করতে চায়- উৎসাহ তৈরি হবে। এ ঢেউ আমাদের উপমহাদেশসহ সব দেশেই লাগবে।

তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা দেশের সব লেভেলেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা উচিত জানিয়ে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, সেই অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি রাখা দরকার, আমাদের প্রস্তুতি আছে; তবে যে ঢেউটা শুরু হবে তা মোকাবিলার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এমনকি প্রত্যেক অভিভাবক ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রত্যেকের সহযোগিতা করা উচিত।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের যে বিষয়টি সেটি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, যখন আফগানিস্তানে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ হলো ঠিক তখন বিধর্মীদের পবিত্র ভূমি থেকে বিতাড়িত করার জন্য জিহাদের ডাক দেয়া হলো। আবার আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান এটাকে ইমানি দায়িত্ব মনে করে আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে যায়। সে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে এসে অনেকেই প্রকাশ্যে মিছিল করার সাহসও দেখিয়েছে।

তবে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি আফগানিস্তানকেন্দ্রিক জানিয়ে তিনি বলেন, আফগানিস্তানফেরত বাংলাদেশিরাই পরে হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ও জেএমবিসহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করেছিল। সেসব জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল তারা কাশ্মীরে গিয়ে যুদ্ধ করবে। তারা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে জয় লাভ করেছে এখন তারা কাশ্মীরে গিয়ে যুদ্ধ করেও জয়লাভ করবে বলে এমন ধারণা ছিল। কিন্তু নানাবিধ কারণে তারা কাশ্মীরে সফল হতে পারেনি।

তারপর বাংলাদেশেই তারা খিলাফত কায়েমের জন্য আন্দোলন শুরু করে। পুলিশ মোটামুটি প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনার পরে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে। কিন্তু হঠাৎ করে ইরাকে মার্কিন হস্তক্ষেপ হলো ও আন্তর্জাতিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে আইএসের উদ্ভব হয়। বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফা জঙ্গি সংগঠন তৈরি হয় আইএসের উদ্ভব হওয়ার পর।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement