২৭ মার্চ, ২০২৫, বৃহস্পতিবার

ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আবরারের বাবা-মা

Advertisement

দুই বছর দুই মাস ধরে চোখের পানি মুছে শক্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মা। আজ রবিবার এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। ন্যায়বিচার পেলে যদি কিছুটা শান্তি পান এই মা।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘ছেলে হারানোর দুই বছর পরও আবরারের মা শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এখনও চুপচাপ বসে থাকেন। সন্তান যার যায় সেই জানে এর বেদনা। এখনও প্রথম দিনের মতোই মনে ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। এভাবে সন্তান হারানোর কষ্ট কেউ ভুলতে পারে?’

তিনি বলেন, ‘ছেলের একজন খুনিও যেন কোনও কারণে বের না হয়ে যায়। আমরা দৃষ্টান্তমূলক রায় দেখতে চাই। এর আগে যাদের কোল খালি হয়েছে, তারাও যেন শান্তি পায়। ছেলেকে কোলে-পিঠে বড় করে পড়াতে পাঠিয়ে আর কেউ যেন হারানোর বেদনা নিয়ে বাঁচতে বাধ্য না হন। আর কিছু চাই না।’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement