১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, বুধবার

কৃত্রিম মেঘ থেকে বৃষ্টি নামাল আরব আমিরাত

Advertisement

তাক লাগানো সব ইমারত ও সাগরের বুকে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে বহু আগেই পৃথিবীকে তাক লাগিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু মরুভূমির দেশে পানির প্রচণ্ড আকাল। আর সেই সঙ্কট কাটাতে এবার কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি নামাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি।

আরব আমিরাতে মাটি খুঁড়লেই মেলে জ্বালানি তেল। কিন্তু দেশটির সবখানেই পানির জন্য হাহাকার। মাটির গভীরে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তাতে লবণের অনুপাত এতটাই বেশি যে, বহু পরিশোধনের পর তা পান করার যোগ্য করে তুলতে হয়। খাওয়ার পানি বলতে মূলত সমুদ্রের লবণাক্ত পানিই ভরসা আরব আমিরাতের।

পানি পরিশোধনে প্রতি বছর আরব আমিরাতকে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি সুদূর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে জাহাজ দিয়ে টেনে আনতে হয় হিমশৈল। সেই বরফ গলিয়েও তৈরি করা হয় খাওয়ার পানি।

বিশ্বের অন্যতম শুষ্ক দেশ আরব আমিরাত। দেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম। পাল্লা দিয়ে যেন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রাও। নাজেহাল বাসিন্দাদের রেহাই দিতে এবার ড্রোন ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে মেঘ থেকে বৃষ্টি নামালো আমিরাত।

যুক্তরাজ্যর ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ে ড্রোন দিয়ে বৃষ্টি নামানোর এই কৌশল আবিষ্কার হয়েছে। এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক মার্টেন অ্যামবাউম জানান, আরব আমিরাতের ওপর যে পরিমাণ মেঘ পুঞ্জীভূত হয়ে থাকে তার থেকে কৃত্রিমভাবে ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আমিরাতের বৃষ্টি তৈরির বিজ্ঞান প্রকল্পের প্রধান আল মাজরউয়ি জানান, ড্রোনে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্র নিয়ে মেঘের কাছে উড়ে যায় ড্রোন। মেঘের মধ্যে ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক দুই ধরনের আয়নই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই দুই আয়নের ভারসাম্যের হেরফের ঘটিয়ে ইলেকট্রিক চার্জ নির্গতকারী যন্ত্রটি মেঘের মধ্যে থাকা পানির কণাগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। পানির কণাগুলো মিশে গিয়ে ক্রমে বড় পানির কণায় পরিণত হয় এবং ভারী হয়ে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরতে শুরু করে। যা ব্যবহার ব্যয়বহুল হলেও নিয়মিত বৃষ্টি দেখতে পাবেন মরুর বাসিন্দারা। দেশটি সম্প্রতি কারিগরী দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ঘনিষ্ট মিত্র হওয়ার পর এসব প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement