১০ অক্টোবর, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা ভাসানচর পৌঁছেছে

Advertisement

চতুর্দশ ধাপে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ৩০ হাজার ৭৯ জনে।

(১৭ অক্টোবর) সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছান।

নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন এবং বানৌজা পেঙ্গুইন যোগে ৯৬৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। এছাড়াও বানৌজা হাতিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের লাগেজ ভাসানচরে আনা হয়। (১৭ অক্টোবর) সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।

নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট হাসেম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার থেকে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে রয়েছে। ভাসানচর নামানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের (৪ ডিসেম্বর) প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, (২৯ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের (২৯ ও ৩০ জানুয়ারি) তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, (১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় (৩ ও ৪ মার্চ) ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় (১ ও ২ এপ্রিল) ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় (২৫ নভেম্বর) ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় (১৮ ডিসেম্বর) ৫৫২ জন, নবম দফায় ২০২২ সালের (৬ জানুয়ারি) ৭০৫ জন, দশম দফায় (৩১ জানুয়ারি) ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় (১৭ ফেব্রুয়ারি) ১ হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় (১০ মার্চ) ২৯৮২ জন এবং (৩১ মার্চ) ত্রয়োদশ দফায় ৩৫৩২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement