ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নারী পপ তারকা আরিয়ানা সাঈদ। তিনি বলেন, একদল পাকিস্তানির হাতে দেশ তুলে দিয়ে কাপুরুষের মত পালিয়ে গেছেন আশরাফ গনি। আশরাফ গনিকে ‘কাপুরুষ’ বলে অভিহিত করলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরিয়ানা বলেন, প্রেসিডেন্ট যেভাবে আফগানিস্তানকে একদল পাকিস্তানির হাতে ছেড়ে দিয়ে গেলেন তাতে আমি সত্যিই হতাশ। তিনি হতাশ করেছে জনগণ, দেশ, সশস্ত্র বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীকেও। কোনও নেতা ছাড়া যুদ্ধটা আমরা কিভাবে করবো।
পপ তারকা বলেন, (১৫ আগস্ট) তিনি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে দেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে যে গতিতে তালেবান দখলে নিয়েছে সে কথা স্মরণ করে আরিয়ানা সাঈদ বলেন, শুরুতে আমি সত্যিই হতাশ হয়েছি। আমি হতাশ যে তিনি সবাইকে একা ফেলে রেখে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছেন এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তালেবান পুরো আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।
তিনি আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবানদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিখ্যাত তালেবানবিরোধী কিংবদন্তি নেতা আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি কারণ পাঞ্জশির উপত্যকায় আমরুল্লাহ এবং আহমদ মাসুদের নেতৃত্বে তালেবান প্রতিরোধ আন্দোলন গঠন করা হয়েছে। এবং সেই বাহিনীতে ইতোমধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
আরিয়ানা আরও বলেন, আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ফেরার আশঙ্কা করছি আমি। আমি চাই না, আফগানিস্তান আবারও গৃহযদ্ধের কবলে পড়ুক।
তিনি বলেন, আমি শুধু আশা করি যে তালেবানরা মানবিকতা নিয়ে চিন্তা করবে। কুড়ি বছর আগে নিরীহ মানুষের সাথে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছিল এখন তাদের সঙ্গে সেই একই আচরণ করা উচিত নয়।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানের শাসনের সময় শিক্ষা ও চাকরির ব্যাপারে কোন অধিকার ছিলো না নারীদের। তালেবানের অতীত শাসনের সময় ব্যভিচার, সমকামিতার জন্য পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতসহ কঠোর বিধি-বিধান কার্যকর করা হয়েছিল যা খুবই ভয়াবহ ব্যপার।