সৌদি আরবে পাচারকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সাদ্দাম নামের এক যাত্রীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক। তিনি বলেন, সাদ্দাম সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশ্যে যেতে ভোর ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। প্রথমে ঢাকা থেকে ওমানের মাসকাট এবং কানেন্টিং ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মাম যাওয়ার কথা ছিল তার।
আটক সাদ্দামের বাড়ি কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায়। এসব ইয়াবা তিনি কুমিল্লার এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তিদের একটি চক্র সাদ্দামকে সৌদি আরবে যাওয়ার টিকিট বা ভিসা করে দিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই ইয়াবাগুলো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সৌদিআরবে নিতে পারলে সেখানে প্রতি পিস এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো। সেখানে প্রতি পিস ইয়াবাতে তার ৮-১৩শ টাকা করে লাভ থাকতো।
সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদে আর্মড পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এই ইয়াবাগুলো বিক্রির পর তিনিও লাভের অংশ পেতেন। ইয়াবাগুলো নিয়ে সৌদিআরবের দাম্মামের এক প্রবাসীর কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল তার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক বলেন, আসামি সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্যদের বেশকিছু নাম পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইয়াবা পাচার সাদ্দামের এটাই প্রথম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ২০২০ সালে আসামি সাদ্দাম ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইয়াবার বড় এই চালানটি তিনি সৌদি আরবে পাচার করতে যাচ্ছিলেন। তিনি এই পথে নতুন নন।
সৌদিআরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেকেই ইয়াবাসেবী রয়েছেন বলে জানান জিয়াউল হক। এছাড়াও বেশ কিছু সৌদি নাগরিকও বর্তমানে ইয়াবা সেবন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের কারবারিরা লোভে পড়ে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করছে।