ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দুটি রেকর্ড হয়েছে। আজ রোববার লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) এর প্রধান দুই সূচকে এ রেকর্ড হয়েছে।
ঈদের আগেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এবং বাছাই করা সেরা মানের ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক দুইটি রেকর্ড করা উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ফলে সূচক দুইটি বৃদ্ধি পেলেই পূর্বের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক, ‘ডিএসইএক্স’ আজ রোববার ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্যদিকে বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘ডিএস-৩০’ সূচকটি ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি এই দুইটি সূচক চালু করা হয়েছিল। চালু হওয়ার প্রায় দীর্ঘ সাড়ে আট বছর পর এসে এখন সূচক দুইটি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।
ঈদের পর কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে ব্যাংকের লেনদেন সময় কমে যায়। একই সাথে শেয়ারবাজারের লেনদেনের সময়ও কমিয়ে আনা হয়। তাই ব্যাংকের লেনদেন সময়ের সাথে সমন্বয় রেখে চলতি বিধি-নিষেধে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে একটানা বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে।
তিন ঘণ্টার লেনদেন শেষ হয়ে আজ রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
ঈদের ছুটি শুরুর আগে সর্বশেষ কার্যদিবসে (১৯ জুলাই) সাড়ে ৪ ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ লেনদেনের সময় দেড় ঘণ্টা কমে যাওয়ার পরও সেদিনের তুলনায় প্রায় ৯১ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে আজ।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স একবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টের রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময় সূচকটি সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল।
সে সময় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি) এর নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। এরপর গত বছরের জুলাই মাস থেকে পুনরায় শেয়ারবাজার তার স্বাভাবিক ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে। বিগত এক বছরে ডিএসইএক্স সূচকটি প্রায় ২৮০০ পয়েন্ট (৭৭ শতাংশ) বেড়েছে।