মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য বয়সসীমা সরকার কয়েক ধাপে কমিয়ে ১৮ বছর করতে যাচ্ছে। আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সী ব্যক্তিরাও টিকা পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তারাও টিকা পাবেন।
এ নিয়ে গত রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজন্য ৭ আগস্ট থেকে টিকার ক্যাম্প করা হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই দিতে পারবে এ টিকা। জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই হবে। আর যাদের কার্ড নেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে।
তবে জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যতিত কীভাবে সর্বস্তরে টিকা নিশ্চিত কিংবা বয়স নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করেনি সরকার।
জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) ছাড়া টিকা দেওয়ার পদ্ধতির বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি পরামর্শ দিয়েছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ১৮ বছর বয়সী ব্যক্তিদের টিকা পাওয়া নিয়ে নিজেই ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) না থাকলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশপত্র নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) যাদের নেই, অনলাইনে তারা নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা কীভাবে টিকা পাবেন, এ বিষয়ে তারা পরামর্শ দিয়েছেন। এ নিয়ে আইসিটি প্রতিমিন্ত্র বলেন, কেউ যেন নিবন্ধনের কারণে টিকা থেকে বঞ্চিত না হন, এটা যখন বলা হলো, আইসিটি বিভাগ তখন ডিজিটাল নিবন্ধনের পদ্ধতিকে সমন্বয় করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অন দ্য স্পট, অর্থাৎ টিকা কেন্দ্রে গিয়েই নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া।
যাদের স্মার্টফোন নেই, ইন্টারনেট–সুবিধা অথবা প্রিন্টিংয়ের সুবিধা নেই, তারা কেন্দ্র গিয়ে এনআইডি দেখালে সেখানে নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাতে টিকার কার্ডও আলাদা করে নিতে হবে না। ঐ যার যার কেন্দ্রেই একটি কার্ড থাকবে। সে কার্ডে নাম-ঠিকানা, টিকার তারিখ, টিকার নাম এবং পরবর্তী টিকার তারিখ উল্লেখ থাকবে। তবে টিকা গ্রহণ করার পরে কার্ড দিয়ে দেবে। এভাবে টিকা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রতিদিন এখন চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করছেন। সর্বোচ্চ চেষ্টায় টিকা দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ মানুষকে।