দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-এলপিজির দাম ১০২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এর মূল্য ছিল ৮৯১ টাকা। নতুন মূল্য আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজি দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করা হলেও উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি খাতে সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা। এর আগে এটি ছিল ৪৪ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এই সংস্থা। এরপর থেকে প্রতি মাসে একবার করে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে আসছে বিইআরসি।
জানা গেছে, এলপিজির দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। আর অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।