এসপি এস এম তানভীর আরাফাতের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করে তাকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দায়িত্বপালনকালে দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে জারি হওয়া এক রুলের বিপরীতে এমন আদেশ দেন আদালত।
এসপি এস এম তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে জারি করা এক রুল শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত এক ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময়ে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
এ সময়ে এসপির আচরণের বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন আদালত।
এর আগে, গত ১৬ই জানুয়ারি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসানের সাথে দুর্ব্যবহার করেন কুষ্টিয়ার তৎকালীন এসপি তানভীর আরাফাত।
এরপর, গত ১৯ জানুয়ারি ভেড়ামাড়া পৌরসভা নির্বাচনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসানের সাথে কুষ্টিয়ার এসপি তানভীর আরাফাতের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি অভিযোগ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে আসে। ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অভিযুক্ত এসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জমা দেন। পরে সেটি নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদনের একটি কপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আসে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে ২০ জানুয়ারি বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত তলব করেন কুষ্টিয়ার তৎকালীন এসপি তানভীর আরাফাতকে। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি আদালত অবমাননার দায়ে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা চান আদালত।
এরই ভিত্তিতে ২৫ জানুয়ারি নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন দাখিল করেন এসপি তানভীর আরাফাত। আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন তখন।
আদালতে ক্ষমার আবেদনে এস এম তানভীর আরাফাত উল্লেখ করেন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হবেন। এ ধরনের ভুল আর কখনো হবে না বলেও আবেদনে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এসপি তানভীরকে আদালতের সতর্কীকরণ
Advertisement
Advertisement