১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, বুধবার

করোনা চিকিৎসায় ৩ ওষুধ ট্রায়ালের ঘোষণা ডব্লিউএইচওর

Advertisement

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তিনটি ওষুধের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির ‘অপরিহার্য’ ওষুধের তালিকাভুক্ত এই তিন ওষুধ হলো- আর্টিসুনেট, ইমাটিনিব এবং ইনফ্লিক্সিম্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, এই ট্রায়ালে অংশ নেবেন বিশ্বের ৫২ দেশের ৬০০ হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা।

বিবৃতিতে এ সম্পর্কে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, মহামারিকে নির্মূল করতে হলে টিকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ওষুধেরও প্রয়োজন। এ কারণেই এ ট্রায়াল কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ইতোমধ্যে করোনা চিকিৎসায় তিনটি ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও। এগুলো হলো ডেক্সোমেথাসন, টোসিলিজুমাব ও সেরিলামাব।

নতুন তিনটির ট্রায়াল সফল হলে এ রোগের চিকিৎসায় ডব্লিউএইচওর অনুমোদিত ওষুধের সংখ্যা পৌঁছাবে ছয়ে।

ট্রায়াল শুরু করতে যাওয়া তিন ওষুধের মধ্যে ১৯৭৭ সালে আর্টিসুনেট ওষুধটি প্রথম বাজারে আসে। এই ওষুধটির আবিষ্কারক চীনা রসায়নবিদ লিউ জু। বর্তমানে ওষুধটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে ভারতের মহারাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি ইপকা। গুরুতর অসুস্থ ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসায় টিকা ও ট্যাবলেট উভয় আকারেই বিশ্বজুড়ে এই ওষুধটি ব্যবহার আছে।

ইমাটিনিব ওষুধটি প্রথম বাজারে আসে ২০০০ সালে। সাধারণভাবে ব্লাড ক্যান্সার তথা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এ ওষুধের ব্যবহার হয়। এই ওষুধটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেলজিয়ামের বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি নোভারটিস।

তৃতীয় ওষুধ ইনফ্লিক্সিম্যাব বাত বা আরথ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কার্যকর। চিকিৎসাগত প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯৯৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন পায় এ ওষুধ। এই ওষুধের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement