বর্তমানে সংক্রমণের কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক শিল্প মালিক কারখানা খুলতে এখনই নারাজ। ঈদ পরবর্তীতে কোভিড-১৯ মহামারীতে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫ হাজার ১৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যারা আক্রান্ত ছিলেন তাদের মধ্যে একদিনে সর্বাধিক ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজিএমইএ সহসভাপতি আরও বলেন, এখন যেভাবে ইনফেকশন রেট বাড়ছে, এমতাবস্থায় কারখানা খোলার বিষয়ে কিছু করার নেই। আমরা ভাবেছিলাম, সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমে আসবে। এখন সংক্রমণের হার উল্টো আরও বাড়ছে। সব কারখানা বন্ধ, আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব, মেনে চলব।” তার মতে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পূর্বে পোশাক খাত ভালো রকমে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও এখন আর সেই অবস্থায় থাকছে না।
এই করোনা মহামারীর পূ্র্বে ৩৪ বিলিয়ন রপ্তানি হয়েছিল। তারপর সেটা ৬ বিলিয়ন কমে গেল। তারই মধ্যে আমরা ৩ বিলিয়ন ডলার সমতায় আনলাম। ভাবছিলাম আরও সমতায় আনা যাবে কিন্তু এখন এই কঠিন পরিস্থিতিতে সেটা আর ভাবা যাচ্ছে না।”
মহামারীর মধ্যেও সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে পূর্বের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি তৈরি পোশাক খাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের (৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন) পণ্য রপ্তানি করেছে । মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
ব্যবসায়ীরা ঈদের আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি পোশাক শিল্প খাতকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার সুপারিশ করেছিলেন। তবে বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি দেখে গতকাল সোমবারও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তিনি বলেছেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার এখনও কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে একাধিক রপ্তানিকারক বললেন, কারখানাগুলোর সরবরাহ চেইনে এমন অনেক ক্রয়াদেম রয়েছে যেগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে; এখন শুধু প্যাকেজিং করলেই শিপমেন্ট দেওয়া সম্ভব।