পাহাড়ি ঢল ও হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি কারণে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার।
শনিবার ১৮ জুন রাতে প্লাবিত হয়ে যায় কুলাউড়া উপজেলা এলাকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দুটি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা করেছে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ।
কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বন্যার পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ইসলামগঞ্জ এবং জুড়ীর নার্সারি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কাদিপুর, ভূকশিমইল, শশারকান্দি ইসলামগঞ্জ ও জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের আংশিক কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। পানি কমে গেলে ওই দুই ফিডারের বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর, ও কুলাউড়া সদরসহ সাতটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।