বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি ব্যাপক হারে টিকাদান নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। সেই লক্ষেই করোনা প্রতিরোধে এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কর্সমসূচি শুরু করে সরকার। এখন পর্যন্ত দেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানির টিকা এসেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১০ লক্ষ্য ডোজ টিকা বাংলাদেশ নিজেদের অর্থায়নে নিয়ে আসলেও, এর বাইরে যা এসেছে তার সবটুকুই উপহার। ইতোমধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭৯ ডোজ টিকা দান সম্পন্ন হয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত আসা টিকাগুলোর পরিচিতিঃ
কোভিশিল্ডঃ ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানি মিলিতভাবে তৈরি করে এই টিকা। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই টিকা সুরক্ষা দেয় ৬০-৮৫%। দেশে আসা ২ কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ ডোজ টিকার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারই রয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ।
ভারত সরকারের উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ২০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড দেশে প্রথম আসে ২১ জানুয়ারি। তার ঠিক চারদিন পর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে কেনা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড আসে বাংলাদেশে।
সিনোফার্মঃ চীনের ‘সিনোভ্যাক বায়োটেক’ নামক বায়োফার্মাসিউটিকাল কোম্পানির উদ্ভাবিত এ টিকা করোনার বিরুদ্ধে প্রায় ৭৮-৯০% কার্যকর। চীনের তৈরি এ টিকার প্রায় ৫১ লাখ ডোজ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এসেছে।
ফাইজারঃ ফাইজার ইনকর্পোরেশন নামক মার্কিন জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এবং জার্মানির বায়োনটেক- এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি এ টিকা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত (৭০-৯২%) কার্যকারিতা দেখিয়েছে৷ সম্প্রতি ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় উপহার হিসেবে পায় বাংলাদশ।
মডার্নাঃ যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার উপহার হিসেবে কোভ্যাক্সের আওতায় এই টিকা পাঠায়। আমেরিকার তৈরি এই টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রায় ৯০-৯৪% সুরক্ষা দিতে সক্ষম।