১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার

গণপরিবহন বন্ধ, রাস্তায় বাড়ছে মানুষের চাপ

Advertisement

ফের লকডাউন শুরুর আগের দিন আজ ৫ আগস্ট ঢাকার জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে রাস্তাঘাটে যানবাহনের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পরিবহনের জন্য সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সড়কে লক্ষ্য করা যায় রিকশা, মোটরবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি ওসিএনজির চলাচল। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনও মানুষকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।

আজ সকালে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় দেখা গেছে, জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরবাইক, সিএনজি ও রিকশা চলাচল করছে। তবে রাজধানীর বাইরে থেকে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বেশ কিছু মানুষকে ঢাকার ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তবে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে কোনও তল্লাশি করা না হলেও তা সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। যার কারণে সেসব চেকপোস্টগুলোতে তীব্র যানজট দেখা গেছে।

চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে কর্মীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। যার কারেণে অফিসে যাতায়াত করতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে এসব মানুষকে।

ঢাকার সায়েদাবাদেও ঠিক একই চিত্র চোখে পড়ে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় থেকে ভ্যানগাড়িতে করে মানুষকে অফিসে যেতে দেখা গেছে। যার ফলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অফিসগুলো খোলা রাখলেও যাতায়াতের কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখেনি।

সকালে কুড়িল ফ্লাইওভারের গোড়ায় একটি পুলিশের একটি চেকপোস্ট দেখা গেছে। তবে ট্রাফিক পুলিশের কোনও সদস্যকে সেখানে যানবাহন চেক করতে দেখা যায়নি।

মোখলেছুর রহমান নামে এক শ্রমিক বলেন, আমার বাসা থেকে কাজে যেতে বাস ভাড়া লাগে ১৫ টাকা। আর এখন গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে রাস্তায় যানবাহন না থাকায় রিকশা ভাড়া দাবি করে ৮০ টাকা। এখন প্রায় ৫ গুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে কাজে যেতে হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement