১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার

গাজীপুরে গলা কেটে মা-মেয়েকে খুন, জামাতাসহ গ্রেফতার ২

Advertisement

গাজীপুরে গলা কেটে মা-মেয়ের জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত ফেরদৌসির জামাতা (ভাতিজির প্রাক্তন স্বামী)সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। ইনস্যুরেন্সের কিস্তির টাকা চাওয়ায় এবং স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ইন্দনদাতা সন্দেহে প্রতিশোধ নিতে ক্ষুব্ধ ওই জামাতা তার বন্ধুর সহযোগিতায় এ জোড়া খুন করে। পুলিশ খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি চাকু ও মোটরসাইকেল এবং নিহতের ব্যাগ উদ্ধার করেছে।

শনিবার জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) জাকির হাসান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজোয়ান আহমেদ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) রিপন চন্দ্র সরকার, সদর থানার ওসি মো: রফিকুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সৈয়দ রাফিউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের সালদিয়া গ্রামের সাত্তার খানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম খান (২১) এবং একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ও নিহত ফেরদৌসির জামাতা মো: মহিউদ্দিন ওরফে বাবু (৩৫)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ওই কর্মকর্তা জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর প্রায় দুই বছর আগে গাজীপুর সদর উপজেলার খুদে বরমী এলাকার রবিউল ইসলামকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন দুই সন্তানের জননী ফেরদৌসী আক্তার (২৮)।

তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বড়াইয়া গ্রামের মৃত বাছির উদ্দিন বছুর মেয়ে। প্রথম সংসারের দু’সন্তান হাফসা আক্তার (১০) ও তাসমিয়া আক্তার (৪)কে নিয়ে মহানগরীর হাড়িনাল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন ফেরদৌসি। তিনি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে মাঠ কর্মী হিসেবে চাকুরি করতেন। তিনি একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি পাইয়ে দেন ভাতিজী লিমাকে। চাকরি পাওয়ার পর প্রায় তিন মাস আগে লিমা তার স্বামী মহিউদ্দিন ওরফে বাবুকে ডিভোর্স দেয়।

লিমাকে চাকরি পাইয়ে দেয়াটাই কাল হলো ফেরদৌসির। বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনায় ইন্দনদাতা হিসেবে ফুপু শাশুড়ি ফেরদৌসিকে দায়ী করেন বাবু। স্ত্রীকে ফিরে পেতে বাবু বিভিন্ন কবিরাজের কাছে ধর্ণা দিয়ে ব্যর্থ হয়। এদিকে ইনস্যুরেন্সের পাওনা কিস্তির টাকা চাওয়ায় ফেরদৌসির উপর ক্ষুব্ধ হয় বাবু। উভয় ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বাবু তার বন্ধু জাহিদুলকে নিয়ে ফেরদৌসিকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার দু’দিন আগে তারা মোটরসাইকেলে ঘুরে হত্যাকান্ডের জন্য মহানগরীর সদর থানাধীন দেশীপাড়া এলাকার নির্জন টেক বেছে নেয়। পরে হত্যাকান্ডে ব্যবহারের জন্য সুইচ গিয়ার দুইটি সাড়ে তিনশ’ টাকা দিয়ে রাজধানীর বায়তুল মোকারম এলাকার ফুটপাতের দোকান থেকে কিনে আনে জাহিদুল।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement