২৭ মার্চ, ২০২৫, বৃহস্পতিবার

চাইলেই সময় বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন করদাতারা

Advertisement

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আর মাত্র দুই দিন বাকি আছে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার। নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে ৩০ নভেম্বর। এ সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না।

রোববার ২৮ নভেম্বর এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মুমেন বলেন, আয়করের এনফোর্সমেন্ট দিনে দিনে শক্ত হচ্ছে। রিটার্ন না দিলে জরিমানার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। অযথা ঝামেলা নেওয়ার কী দরকার, সময়মতো রিটার্ন দিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। রিটার্ন দেওয়া এখন অনেক সহজ।

বর্তমানে দেশের প্রায় ৬৮ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাদের মধ্যে ২৫ লাখের মতো টিআইএনধারী করদাতা নিয়মিত রিটার্ন দেন বলে জানা গেছে। তবে এ বছর সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

প্রাণঘাতী করোনা মহামারি বিবেচনায় চলতি বছরে আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর অঞ্চলে জোন ভিত্তিক বুথ, ই-টিআইএন ও তথ্য সেবা বুথ রাখা হয়েছে। আয়কর অফিসেও করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তাই আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কর বিভাগ সংশ্লিষ্টরা।

নির্ধারিত সময় ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হলে আবেদন সাপেক্ষে করদাতারা চাইলেই সময় বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন। করদাতার রিটার্ন জমা দেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এজন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। যদিও আবেদন করে সময় পেলেও বিলম্ব সুদ দিতে হবে, জরিমানা দিতে হবে না।

আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী জরিমানা, করের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ কিংবা করের টাকার ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপ করতে পারবেন। গত কয়েক বছর আগেও প্রতিবার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হতো। কিন্তু ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর করোনার কারণে সময় একমাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement