ঝালকাঠি জেলায় জমে উঠেছে সবুজ চরার হাট। ঝালকাঠিতে বৃক্ষরোপণের মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই হাট বসে। আগে হাট বসতো জেলা শহরের পৌরসভার কাছে থানার খালের পাড়ে। আর সে হাট শহরের বাসন্ডা নদীর পাড়ে ব্রিজের নিচে বসছে।
সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ দুটি দিনে সকাল থেকেই নার্সারি ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এ হাটে বনজ, ফলদ ও ভেষজ গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি জাতের শৌখিন গাছের চারা বিক্রি হয়।
তাছাড়াও শহরের উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে সবজি চারার হাট, নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাজার, রাজাপুর উপজেলা বাঘড়ি বাজার, কাঁঠালিয়া উপজেলার আউড়া বাজার, বটতলা বাজার এবং জমাদ্দার হাটসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে চারা বেচা-কেনা হয়।
ঝালকাঠি জেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাছের চারা বিক্রি ও রোপণের উপযুক্ত সময় বাংলা মাসের আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এ তিন মাস। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সাধারণ মানুষ জেলার বিভিন্ন হাট থেকে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা ক্রয় করে রোপণ করছে।
তবে এ বছর প্রায় সাপ্তাহিক হাটগুলোতে দুই লাখ চারা বেচাকেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি বন বিভাগ এ বছর সদর উপজেলাসহ চারটি উপজেলায় লক্ষাধিক বনজ , ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করবে।
এমনকি জেলার দুটি আসনের দুই সাংসদের কোটায় আরও ২০ হাজার গাছ বিতরণ করা হবে। এ বছর বিক্রির জন্য বন বিভাগ ১০ হাজার গাছের চারা উৎপাদন করেছে। তাছাড়াও গত বছরের উৎপাদন করা গাছের চারা আরও ২০ হাজার বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, চলতি বছর (২০২১ সাল) ঝালকাঠির বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাটে প্রায় দুই লাখ গাছের চারা বেচা-কেনা হবে। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষের বৃক্ষরোপণে আগ্রহের কমতি নেই। দিন দিন আগ্রহ আরও বাড়ছে, কিন্তু ফলদ চারা রোপণে আগের তুলনায় সচেতন হয়েছে জনসাধারণ।