লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে তিন বন্ধু মিলে একটা চায়ের দোকান দিয়েছিলেন। তাদের এ সিদ্ধান্ত দেখে শুরুতে সবাই ভেবেছিলেন কুব বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই তিনজন। তাদের তিনজনের সেই বাজে সিদ্ধান্তই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিন বন্ধু ছোট্ট চায়ের দোকানে থেকে বছরে শতকোটির ব্যবসা করেছেন।
ভারতের মধ্য প্রদেশের ২০১৬ সালে ইন্দোরে মাত্র ৩ লাখ রুপি বিনিয়োগ করে ওই তিন বন্ধু আনন্দ, রাহুল আর অনুভব দুবে চায়ের দোকান দেন। তাদের ১৬৫টি আউটলেট থেকে ১০০ কোটি রুপির উপরে ব্যবসা হচ্ছে মাত্র ৫ বছরে। শুধু ভারতে নয় দুবাইয়েও রয়েছে তাদের শাখা। তারা জানিয়েছেন খুব শিগগিরিই কানাডা আর লন্ডনে শাখা খুলবেন বলে।
এমনকি ‘চায়ে সুত্তা বার’ নামের ওই চেইনশপটি চায়ের দোকান হলেও এখানে স্যান্ডউইচ, পাস্তা, নুডুলসও পাওয়া যায়। তার সাথে ১০টি ভিন্ন ফ্লেভারের চা তো আছেই। কিন্তু ধূমপানের কোনো সুযোগ নেই সেখানে।
মাটির ভাঁড়ে তাদের আউটলেটগুলোতে চা পরিবেশন করা হয়। যেন মৃৎশিল্পীদের কিছুটা সাহায্য হয় সেজন্যই এই প্রথা চালু করেছেন বলে জানিয়েছেন ‘চায়ে সুত্তা বার’ এর পরিচালক আনন্দ নায়েক।
তিনি প্রথমে তৈরি পোশাকেও ব্যবসাও শুরু করেছিলেন। তারপর সেখানে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে চায়ের দোকান দেওয়ার কথা ভাবেন ।
ছেলে বড় সরকারি চাকরিজীবী হোক এমনটা চেয়েছিল দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো অনুভবের পরিবারও। সেজন্য চাকরির পড়াশুনার শুরু করেছিলেন আনন্দ। তারপর আনন্দের পরিকল্পনা শুনে অনুভব চাকরির প্রস্তুতি ছেড়েছুড়ে তার সাথে যোগ দেয়।
তিনি পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। পরে আরেক বন্ধু রাহুলকে ডেকে নেন। তখন তিন বন্ধু মিলে তখন মাত্র তিন লাখ রুপি জোগাড় করতে পেরেছিলেন। আজকের শতকোটির ব্যবসার প্রথম ধাপ তা দিয়েই শুরু হয়।