পরীমনি কাণ্ডে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুুরীকে রাজধানীর পন্থপথ থেকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।
এই নির্মাতাকে নিজের ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। পরীমনির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নির্মাতা। বিশেষ করে গত মাসে ঢাকার সাভারে উত্তরা বোটক্লাব কাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমণিকে সাহস জুগিয়েছিলেন চয়নিকা।
মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙা-গড়া, ব্ল্যাকমেইলিংসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার মডেল পিয়াসা, মৌ এবং পরীমণিসহ বেশ কয়েকজনকে ব্যবসায়ীদের ডিজে পার্টি এবং মাদকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিনেত্রী ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ শুক্রবার বিকেলে, একটি বেসরকারি টিভিতে সাক্ষাৎকার শেষে বের হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ চয়নিকার ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে আটক করা হয়।
চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। সে সিনেমার নায়িকা পরীমণি।
বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমণির পাশে দেখা যায় চয়নিকা চৌধুরীকে। কিন্তু গত ৪ আগস্ট পরীমণি আটক হওয়ার পর তাকে আর পাশে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে অবশ্য চয়নিকা গণমাধ্যমে বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার যোগাযোগ ও আড্ডা নিতান্ত পেশাগত কারণে। এরপর চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুক একাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভেট করেন।