বাগেরহাটের চিতলমারী থানার সামনে সোমবার ২০ জুন দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতাদের সংঘর্ষ হয়। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
জানা যায়, এক কলেজ শিক্ষার্থী ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে চিতলমারী থানায় প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, চিতলমারী উপজেলার শেরেবাংলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী কয়েক দিন আগে ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি ও অবমাননা করে পোস্ট দেয় এবং ভিডিও ভাইরাল করে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে রোববার (১৯ জুন) রাতে ওই ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। থানাহাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে হঠাৎ স্থানীয় জনতা পোস্টকারীর বিচারের দাবিতে মিছিল করে এবং থানায় প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সামাল দিতে পুলিশও ২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হোসেনের গাড়ি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়ি, ৪টি মোটরসাইকেল ও থানার কাচের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
