করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন স্থানে জারি থাকা জরুরি অবস্থা সারাদেশে কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের করোনাভাইরাস বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের প্রধান ওমি শিগেরু। বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৮টি প্রশাসনিক কাঠামোকে জরুরি বিধিনিষেধের আওতায় আনতে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিতে যাচ্ছে জাপান সরকার।
বুধবার দেশটিতে আরও ১৪ হাজার ২০৭ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। শুধু রাজধানী টোকিওতে ৪ হাজার ১৬৬ নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৭ জনে; যে হারে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে তাতে এই সংখ্যা ১০ লাখ পেরোতে সময় লাগবে না বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের।
অতি সংক্রামক ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে জাপানের বিভিন্ন স্থানে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।
বুধবার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য এই ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজেস। সংস্থাটি বলছে, এ মাসের গোড়ার দিকে ক্যান্টো অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ এবং কানসাই অঞ্চলে প্রায় ৬০ শতাংশ নতুন সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভ্যারিয়েন্ট।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় দেশটির কর্তৃপক্ষ আগেই টোকিওসহ ৬টি প্রশাসনিক কাঠামোতে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করে। এর পাশাপাশি আরও ৫টি প্রশাসনিক কাঠামোতে দেওয়া হয়েছিল ‘আধা-জরুরি অবস্থা’।
বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ এ বিধিনিষেধের আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও তা রোববার থেকে কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।