১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার

বিশ্বের সেরা ধনীর খেতাব হারালেন জেফ বেজোস

Advertisement

বিশ্বের সেরা ধনী জেফ বেজোসকে টপকে গেলেন ফরাসি বিলাসপণ্যের প্রতিষ্ঠান মোয়েট হেনেসি লুই ভিটন-এমএইচএলভি মালিক বার্নার্ড আর্নলড। এ বছর মে মাসের শেষ থেকেই এই দুই ধনকুবের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হওয়ার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল। এ লড়াই জুনের প্রথম পর্যন্ত চলে। কিন্তু ৫০ দিন ধরে বেজোসই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

আমাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সম্প্রতি মহাকাশে গিয়েছিলেন, তখনই আলোচনা হচ্ছিল পৃথিবীতে তাঁর অনুপস্থিতিতে কে হলেন শীর্ষ ধনী। কিন্তু এবার সেই মহাকাশের ১১ মিনিট নয়, পৃথিবীর হিসাবে আসলেই বদলে গেছে শীর্ষ ধনীর নাম। গত শুক্রবার এক দিনে আমাজনের শেয়ারের ৭ দশমিক ৬ শতাংশ দরপতন হয়। তাতে বেজোসের সম্পদ কমে যায় ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। সেই সুযোগে ফরাসি কোম্পানি এমএইচএলভি এর মালিক বার্নার্ড আর্নলড বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে যান বলে জানাচ্ছে ফোর্বস।

শুক্রবারের শেয়ারবাজার অবশ্য আর্নলডও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তার বিলাসপণ্যের ব্র্যান্ডের সমষ্টিগত শেয়ার ১ দশমিক ৪ শতাংশ পড়ে যায়। এতে আর্নলডও ২৯০ কোটি ডলার সম্পদ হারান, কিন্তু সপ্তাহ শেষে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ২৯০ কোটি ডলার, যা বেজোসের চেয়ে ৫০ কোটি ডলার বেশি। এভাবেই বেজোসকে পেছনে ফেলে দেন আর্নলড।

এ বছর মে মাসের শেষ থেকেই এই দুই ধনকুবের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হওয়ার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল। এ লড়াই জুনের প্রথম পর্যন্ত চলে। কিন্তু ৫০ দিন ধরে বেজোসই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। এমনকি ২০ জুলাই তাঁর মহাকাশযাত্রার বিশাল খরচও তাঁকে শীর্ষ ধনীর অবস্থান থেকে নড়াতে পারেনি। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের পর আর্নলডের সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার বাড়ে।

গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের পর আর্নলডের সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার বাড়ে। গত গ্রীষ্মে এমএইচএলভি বিক্রির লেখচিত্র ওপরেই স্থির ছিল। স্বভাবতই প্রতিষ্ঠানটির ৪৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক আর্নলড ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন আয় করে। এমএইচএলভির প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে লুই ভিটন, মোয়েট অ্যান্ড চ্যানডন, ক্রিশিয়ান ডিওর এবং টিফফানি অ্যান্ড কো।

শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও আমাজন দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভালোই ব্যবসা করেছে। এ সময়ে তাদের বিক্রি ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। তবে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে আমাজনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৪ শতাংশ। আমাজন বলছে, তৃতীয় প্রান্তিকে গিয়ে তাদের আয় হবে ১০ হাজার ৬০০ থেকে ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের মধ্যে। যদিও বাজার বিশ্লেষকদের আশা ছিল, ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement