৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, বৃহস্পতিবার

টবে ডাটাশাক চাষ করবেন যেভাবে

Advertisement

প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে সবজি অন্যতম। বিভিন্ন রকরেম সবজিই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। একেক সবজির স্বাদ একেক রকম। সেগুলোর মধ্যে ডাটাশাক বেশ উপকারী। এটি অনেকেরই কাছে প্রিয় সবজি।

বর্তমানে সময়ে আামদের দেশে সারা বছরই ডাটাশাক পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালে এটি বেশি চাষ করা হয়। মাঠে সাধারণ পদ্ধতি ছাড়াও বর্তমানে এটি ছাদে টবেও চাষ করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে গ্রামের তুলনায় শহরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টবে চাষ পদ্ধতি।

তবে এটি চাষ করতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে-

ডাটাশাক চাষে মাটি তৈরির গুরুত্ব-

টবে ডাটাশাক চাষ পদ্ধতিতে মাটি তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । ডাটাশাক চাষের জন্য মাটি তৈরি করার সময় বেশ কিছু উপাদান সঠিকভাবে মিশিয়ে নিন। দো-আঁশ মাটি শতকরা ৫০, বালি শতকরা ৫ ভাগ, শুকনো গোবর বা পাতা পচা সার শতকরা ৪০ ভাগ, এবং ছাই শতকরা ৫ ভাগ মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে।

মাটি তৈরিতে সতর্কতা-

মাটি তৈরির সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, যদি মাটি এঁটেল হয় তবে মিশ্রণে বালির পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে। যদি বেলে মাটি দো-আঁশ টাইপের হয় তবে বালি একেবারেই দেওয়া ঠিক হবে না। এভাবে মাটি তৈরি করলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে না।

টবে চাষের ক্ষেত্রে-

টবে ডাটাশাক চাষ করলে টবের আকার সঠিক হওয়া প্রয়োজন। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ কেজি মাটি ধরে এমন টব, ড্রাম বা সিমেন্টের বস্তায় শাকের চারা লাগাতে পারেন।

সার প্রয়োগ-

রোপণের সময় প্রয়োগ কৃত জৈব সার এর বাইরে ও নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে রাসায়নিক সার প্রয়োগ ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এছাড়া গাছের অবস্থা দেখে মাঝে মাঝে জৈব সার গাছের গোড়ার সাড়ে ছয় ইঞ্চি দূরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। টবের গাছের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় তরল সার ব্যবহার করলে। তরল সার তৈরির জন্য ২০০ গ্ৰাম সরিষার খৈল অথবা ৫০০ গ্ৰাম পরিমাণ শুকনো গোবর ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে দুই দিন রেখে দিতে হবে। এরপর তৈরি করা তরল সার টবে প্রয়োগ করুন।

প্রয়োগের সময় গাছের গোড়া থেকে অন্তত ছয় থেকে সাড়ে আট ইঞ্চি দূরে তরল সার প্রয়োজন মতো ঢেলে দিন। এই তরল সার প্রতি মাসে দুইবার প্রয়োগ করলে ফলন বেশ ভালো হবে।

রোগবালাই দমন-

ডাটাশাক গাছের রোগ বালাই দমন করতে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত প্রায় সব ধরনের গাছে রোগ বালাই হয়ে থাকে। ডাটাশাক গাছের রোগ বালাই দমন করতে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। জৈব কীটনাশকগুলো মানুষের জন্য একেবারেই ক্ষতিকর নয়। এই ধরনের কীটনাশক নিম পাতা সেদ্ধ করে বা গাঁদা ফুলের পাতার রস থেকে তৈরি করা যায়।

গোড়ায় পচন সমস্যা দেখা দিলে করণীয়-

ডাটাশাক গাছে মাঝে মধ্যেই গোড়ায় পচন জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করতে হবে। ছাই ডাটাশাক গাছকে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। এগুলো ছাড়াও অধিকাংশ রোগবালাই থেকে আপনার টবের গাছটিকে বাঁচাতে চাইলে কিছু পরিমাণ শুকনো নিমপাতা গাছের গোড়ায় দিয়ে রাখুন এটি অধিকাংশ পোকামাকড়কে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement