লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস (১৯ ডিসেম্বর) সোমবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।
শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় আগের দিনের মতোই এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪১ পয়েন্ট। এর ফলে বুধ, বৃহস্পতি, রোব ও সোমবার টানা চার কর্মদিবস দরপতন হলো।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরও দরপতন হতে পারে এই ভয়ে ও আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে শেয়ার কেনার তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। এ কারণে বাজারে লেনদেন কম হচ্ছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার বাজারে ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের ৬ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ৮৪ টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। কমেছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং অ্যান্ড স্টেশনের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে জেনেক্স ইনফোসেস, মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেলি, বসুন্ধরা পেপার, বেক্সিমকো ফার্মা, জেমিনি সি ফুড, বিডি অটোকার এবং বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৪১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ২০ লাখ কোটি ২৮ লাখ ১১ হাজার ৯৪৮ টাকা।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৪৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির ও কমেছে ৪৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।