করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশেই টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে চীনের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের মধ্যে সমঝােতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস-বিসিপিএস মিলনায়তনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মােমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মােমেন, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাে. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লােকমান হােসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মােহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সমঝােতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং এবং ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শােকের এ মাসে বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিক উন্মোচিত হলাে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দ্রুতই ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে।
দেশে এ পর্যন্ত চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের টিকা এসেছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডোজ। আর চারটি ব্র্যান্ডের সব মিলে টিকা এসেছে ৩ কোটি ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ ডোজ। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি টিকা মিলেছে চীন থেকে।
এরপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে এক কোটি ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ ডোজ, ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ ও মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ। এর মধ্যে সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৮ ডোজ।