সংক্ষিপ্ত স্কোর
স্কটল্যান্ড ১৬০/৫ (জর্জ মুনসে ৬৬*, ক্যালম ম্যাকলয়েড ২৩; জেসন হোল্ডার ২-১৪, আলজারি জোসেফ ২-২৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৮ (জেসন হোল্ডার ৩৮, কাইল মেয়ার্স ২০; মার্ক ওয়াট ৩-১২, মাইকেল লিস্ক ২-১৫, ব্র্যাড হুইল ২-৩২)
ফলাফল- স্কটল্যান্ড ৪২ রানে জয়ী।
আগের দিন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে নামিবিয়া বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনও দেখল বড় এক অঘটন। পুঁচকে স্কটল্যান্ড আজ হারিয়ে দিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে। ব্যবধানটাও বিশাল, স্কটিশরা জয় পেয়েছে ৪২ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে নিয়েছিল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। কারণ হিসেবে জানিয়েছিল নতুন উইকেটটা আগে একটু বোঝার কথা। সেটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল ক্যারিবীয়দের জন্য। শুরু থেকেই উইন্ডিজ বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই স্কটিশ ওপেনার জর্জ মুনসে আর মাইকেল জোন্স। ৫ ওভারেই তুলে ফেলে ৫০ রান।
এরপরই ম্যাচে এল বৃষ্টির হানা। প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকল খেলা। তাতে যেন দুই ওপেনারের তাল কেটে গেল কিছুটা। জোন্স ফিরলেন সেই ওভারেই। তার প্রভাবটা গোটা স্কটিশ ইনিংসেই পড়ল। পরের ছয় ওভারে রান উঠল মোটে ২৯। দলটা হারাল আরও দুই উইকেট।
তবে ইনিংসের ১৩তম ওভার থেকে যেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে চাইল স্কটিশরা। হোল্ডারের সে ওভারে ৯ রান নিয়ে শুরু। এরপর হারানো ছন্দটা আবারও ফিরে পায় দলটি। মুনসে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন, সঙ্গে ক্যালম ম্যাকলয়েড ২৩ আর ক্রিস গ্রিভসের ১৬ রানের দুটি ক্যামিওতে স্কটিশরা পায় ১৬০ রানের পুঁজি। শেষ ৮ ওভারে ৭২ রান তুলে মোমেন্টামটাও নিজেদের দখলে নিয়ে আসে দলটি।
সেটা কাজে লাগিয়েই উইন্ডিজকে পাওয়ারপ্লের শুরুতে উইন্ডিজকে চেপে ধরে স্কটিশরা। তৃতীয় ওভারে জশ ডেভি বিদায় করেন কাইল মেয়ার্সকে। এরপর অবশ্য এভিন লুইস আর ব্রেন্ডন কিংয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লে শেষে ৫৩ রান তুলে ফেলে ক্যারিবীয়রা।
পাওয়ারপ্লে শেষের এক বল আগে ফেরেন লুইস। এরপরই উইন্ডিজের দুর্দশার শুরু। দুই ওভারে কিং আর নিকলাস পুরানকে তুলে নেয় স্কটল্যান্ড। শুধু ১০ম ওভারে এরপর আর কোনো উইকেট খোয়ায়নি উইন্ডিজ। ১১ থেকে ১৪ এই চার ওভারের প্রতিটিতে উইকেট খুইয়েছে দলটি। ৭৯ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে দুই অঙ্কে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় দলটি।
জেসন হোল্ডারের ৩৮ রানের ইনিংসে দলটি সে শঙ্কা এড়ায় উইন্ডিজ। তবে সেটা ম্যাচ দলটিকে হারের কবল থেকে বাঁচাতে পারেনি। শেষমেশ ৪২ রানের হার নিয়ে ম্যাচটা শেষ করে দলটি। দ্বিতীয় দিনে আরও এক অঘটনের দেখা পায় এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ।