চোরের ১০ দিন গেহরস্তের এক, প্রাবাদ বাক্যটি আবারও সত্য প্রমাণিত হলো। যারা প্রতিভাবান চোর তারা এমন জিনিস চুরি করেন যেটি খুব বেশি জনপ্রিয় নয়। যা মানুষ খুব বেশি খোঁজে না। গান,গল্প বা সাহিত্যের ক্ষেত্রে এমন চুরি করে বিখ্যাত হয়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে নতুন যুক্ত হলেন ভারতের সুরকার আনু মালিক।
১৯৯৬ সালের বলিউড সিনেমা ‘দিলজালে’ সিনেমায় একটি গান “মেরা মুলক মেরা দেশ” ২৫ বছর আগে গানটি ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো ভারতর্ষ ও এই বাংলায়। তখন সবাই আনুকে মেধাবী ট্যালেন্ট বললেও, ২৫ বছর পড়ে তার চুরির গল্পটা দুনিয়ার সামনে ভেসে উঠেছে অনন্য এক সফলতার মধ্যদিয়েই।
টোকিও অলিম্পিকে যখন শৈল্পিক জিমন্যাস্টিকে স্বর্ণ জিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো ইসরায়েলের জিমন্যাস্ট। ঠিক তখনই বেজে উঠলো ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত ‘হাতিকভাহ’। তাতেই বেরিয়ে এলো আনুমালিকের প্রতারণার গল্প। সেখানে উপস্থিত সকল ভারতীয় দর্শক হয়তো চিন্তা করছিলো ‘দিলজালে’র ‘মেরা মুলক মেরা দেশ’ তাদের গান নয়। তারা এই গান গেয়ে যে দেশ প্রেম দেখাতেন সেটি এদিন ছিলো নকল!
এই গানটি ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গিত আর সেটি চুরি করেছে ভারতীয় একজন কিংবদন্তি শিল্পি। আনুর বিরুদ্ধে অন্যের সুর বা গান নকলের অভিযোগ রয়েছে কিন্তু একটি দেশের জাতীয় সংগীত নকলের ঘটনা ছোটখাটো কোন ঘটনা নয়। কপি করা সুরে হিন্দি গানটাও আবার ভারতের দেশাত্মবোধক।
এই গানটির কপি ধরা পড়ার পরেই সামাজিক মাধ্যমে চলছে ট্রলের বাহার, যে যেমন পারছেন শুধু লিখে যাচ্ছেন একজন লিখেছেন ‘শুধু গানের সুর কপি করাটাই বড় কথা নয়। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণাও করতে হয়েছে। ঠিক কোন দেশের পক্ষে সহসা অলিম্পিকে সোনা জেতা সম্ভব নয়, এটা বের করা চাট্টিখানি কথা নয়’ (কারণ স্বর্ণ জিতলেই তো জাতীয় সংগীত বেজে উঠবে!) ‘আনু মালিক নিঃসন্দেহে সাহসী মানুষ। তা না হলে কেউ ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত কপি করে!