১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, বুধবার

দরপত্রে অংশ নেয়ায় ঠিকাদারকে হাতুড়িপেটা!

Advertisement

দরপত্রে অংশগ্রহণ করার অপরাধে(!) কুষ্টিয়ায় এক ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে হাতুড়িপেটা করেছে একদল সন্ত্রাসী। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া এলজিইডি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই ঠিকাদারের নাম শাহিদুর রহমান মিন্টু (৪৮)। তিনি কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শানপুকুড়িয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের পুলিশ লাইন্সের সামনে ভাড়া বাসায় থাকেন।

ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টু সাংবাদিকদের জানান, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারি কাজ করে আসছেন। এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসিসহ প্রায় সব দফতরেরই তার নিজ নামে লাইসেন্স রয়েছে।

ঠিকাদার শাহিদুর জানান, কুষ্টিয়া এলজিইডির অধীনে প্রায় সাত কোটি টাকার মিরপুর সড়কের ঘোড়ামারা আরএসডি থেকে পোড়াদহ জিসি ভায়া মসেন রোডের দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের ৩ মার্চ। কাজটি তিনি না পেলেও দরপত্র দাখিল করার পর থেকেই কুষ্টিয়ার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের এক নেতা ঠিকাদার তাকে ফোনে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

হুমকির কারণে তিন মাস ধরে মিরপুর উপজেলার কুর্শা মসজিদ থেকে সুতাইল জোড়া ব্রিজ রোড পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় এক কোটি টাকার রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে এলজিইডি অফিস থেকে বের হন ঠিকাদার শাহিদুর। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার বরকতের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে হাতুড়িপেটা শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে এলজিইডি অফিসের ভেতরে অবস্থান নেন।

হামলার এ দৃশ্য কেউ একজন ফোনে ধারণ করে দুপুরে ফেসবুকে ছেড়ে দিলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

নির্যাতনের শিকার ঠিকাদার শাহিদুর রহমানের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে তিনি ফোনে একের পর হুমকি পাচ্ছেন। তিনি প্রাণশঙ্কায় রয়েছেন। হুমকিদাতা এবং হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তিনি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement