ডায়াবেটিস রোগটির সাথে আমরা সবাই অতিপরিচিত। আর এটি এমন-ই একটি রোগ যা একবার হয়ে গেলে আর কখনই তা ভালো হয় না। সামান্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। ঢেঁড়স আমাদের পরিচিত একটি সবজি। যা রক্তে উচ্চ শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আজ আমরা জেনে নিই ঢেঁড়সের কিছু উপকারিতা।
১. ঢেঁড়স ভেজানোর পর পানির উপকারীতা।
কিছুক্ষণ ঢেঁড়স ভিজিয়ে রাখার পর পানি পান করলে এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যার কারণে ডায়াবেটিস রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে থাকে প্রায় ০.০৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন ও ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন। এসব উপাদানগুলো ডায়াবেটিস রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবরাহ এবং সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করণে ঢেঁড়সের উপকারীতা।
মানবদেহে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশ জাতীয় খাবারের কোনো বিকল্প নেই। আর ঢেঁড়সে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। যা কিনা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায়্য করে। তাছাড়াও ঢেঁড়স খুব সহজেই হজম হয়ে যায় বলে বিপাকক্রিয়াতেও সহায়তা করে।
৩. ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করায় ঢেঁড়সের ভূমিকা।
ঢেঁড়সকে অনেকে সুপারফুডও বলে থাকেন। যা বিশ্বব্যাপী ক্যানসার ও ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমাতেও অনেক কার্যকরী।
৪. রক্তের গ্লুকোজ স্তর স্থিতিশীল করে
ঢেঁড়স রক্তের গ্লুকোজের স্তরকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে। তাতে বিদ্যমান অদ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে চিনির শোষিত হওয়ার হারকে কমায়। যার কারণে স্থিতিশীল হয় রক্তের গ্লুকোজের স্তর। তবে অনেকে গবেষণার বাইরেও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ডায়েটে ঢেঁড়স খেয়ে রক্তে শর্করা কমাতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি করেন।
৫. ওজন কমাতে ঢেঁড়সের ভূমিকা।
একটি ভালো ফাইবারের উৎস হচ্ছে ঢেঁড়স। এমনকি ওজন কমানোর ডায়েটেও এটি খেয়ে থাকেন অনেকেই।