ডেঙ্গু নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে সক্রিয় কাজ করে যাবে।
আজ রোববার (৮ আগস্ট) ঢাকার বেরাইদ এলাকায় এডিস মশা, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মেয়র।
মেয়র আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়নি, যেসব এলাকা এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুমুক্ত রয়েছে সেখানকার কেউ যেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য সবাইকে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। বাসাবাড়িতে জমে থাকা অব্যবহৃত ফুলের টব, টায়ার, চিপসের খোলা প্যাকেট, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ অন্যকোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সবার ঢাকা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানিয়েছেন। প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমা দেওয়া প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা হারে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। সবাইবে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করতে মেয়র বলেন, মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার, তাই করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আমাদের প্রত্যেককেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে।
তারপর নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে ডিএনসিসির ১০ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন মেয়র। তখন অন্যান্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।