আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এডিস মশা নির্মূল করে ডেঙ্গু সহনীয় পর্যায়ে আনতে সিটি কর্পোরেশনের সব কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রবিবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীবাসীকে মশামুক্ত রাখতে মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। চলমান কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যেই এই সভার আয়োজন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে একটি সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ঢাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বারবার সচেতন করার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। সরকারের কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা এবং সরকার প্রতিনিয়ত সেই কাজ করে যাচ্ছে। এখন মানুষ যদি সচেতন না হয়ে এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখেন তাহলে, সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবেন। নানা সমস্যায় ভুগবেন আর চিৎকার করে সরকারকে দোষ দিবেন। এটি সমীচীন হবে না। আপনারা নিজে সচেতন না হলে সরকার আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, দুই একজনের জন্য কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না। এ কারণে যাদের বাসা-বাড়িতে বা ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককে জেল ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, প্রতি ওয়ার্ডকে দশটি সাব-জোনে ভাগ করে সব শ্রেণি পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে করোনা, ডেঙ্গুসহ সকল সমস্যা মোকাবেলা করার পাশাপাশি সব ধরণের সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সম্মিলিতভাবে কাজ করে তাহলে যেকোনো সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। সম্মিলিত প্রচেষ্টা কখনও ব্যর্থ হয় না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আসল ঠিকানা গোপন রাখছেন। এতে করে এডিস মশা নিধনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ যেখানে রোগী পাওয়া যাচ্ছে সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।