দেশে প্রাণঘাতী আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ নিয়ে কাউন্সিলররা কাজ করছেন কিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী নিজেই এ কথা জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে- আপনার কাউন্সিলররা কাজ করে কিনা। আমি বলেছি- ‘কাউন্সিলররা কাজ করে।’
কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সভা করা হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলার পরে তারা উৎসাহিত হয়েছে, আমি তথ্য নিয়েছি, তারা সবাই মাঠে আছে।’
‘ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে’- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রায় ৪০ হাজারের মতো ছিল। এবার জুলাই মাসে ১৫-২০ হাজার হয়েছে। এ মুহূর্তে ভিয়েতনামে ৩৭ হাজার, ফিলিপাইনে ৩১ হাজার, মালয়েশিয়াতে তারা সাকসেসফুল বললেও ১৫ হাজার, সিঙ্গাপুরে তিন হাজার ৫০০ রোগী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশে এক হাজার ৪০৫ জন আক্রান্ত ছিল। তবে আমার কাছে যে তথ্যউপাত্ত তা এক হাজার ১৭৪ জন। গত বছর সিঙ্গাপুরে ৩৪ হাজার, ফিলিপাইনে দুই লাখ ২৫ হাজার, মালয়েশিয়াতে ৪৫ হাজার। ভারতে সাত হাজার, ফ্রান্সে ২৮ হাজার আক্রান্ত হয়।
এডিস মশা নিধনে সবার অংশগ্রহণ করা দরকার বলেও মনে করেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা জানুয়ারি থেকে টিভিসি চালিয়েছি। প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা খরচ করেছি, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। অনেক টেলিভিশনে রাত হলেও কষ্ট করে যোগদান করে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, একটু সমস্যা হচ্ছে আমার মনে হয়। ঈদের বন্ধ এবং লকডাউন, অনেকের জায়গা রিপ্লেস হয়েছে। দুই কোটি মানুষ। এখানে বন্ধ হওয়ায় সমস্যাটা হয়েছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি। আপনারা দেখছেন আমাদের মেয়ররা কী কাজ করছেন, আমি কাজ করছি।
ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফুলের টবে যদি পানি রাখেন তাহলে সেখানে সামান্য কেরোসিন দিয়ে দেন। ছাদে ১০ হাজার বর্গফুটের মধ্যে ২৫০ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দেন তাহলে লার্ভা মরে যায়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছি।