লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশে আলোচিত অভিনেত্রী পরিমনিকে নিয়ে আতঙ্কিত। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন করেছেন, ‘রিমান্ডে পরীমনিকে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণ করা হচ্ছে না তো? এ আতঙ্কের কারণও লিখেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেছেন,‘ দিনের পর দিন পরীমনিকে রিমান্ডে নিচ্ছে, শুনেছি রিমান্ডে মানুষকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়।’ তবে তিনি এ বিষয়েও নিশ্চিত যে, রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছেই।
তসলিমা নাসরিনের আরও দাবি, ‘পরীমনি একজন সুন্দরী মেয়ে। এজন্য তাকে অনেকভাবে পুরুষেরা এক্সপ্লয়েট করে’!
এ নিয়ে তসলিমা নাসরিন আরো লিখেছেন, ‘সমাজের অধিকাংশ মেয়ের মতোই ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে পরীমনি। একজন সাংবাদিকের প্রেমে পড়েছিল পরিমণি। এমনকি তাকেই বিয়ে করবে ঘোষণা করেছিল। তারপর শেষ মুহূর্তে সে বিয়েটা ভেঙে দিতে বাধ্য হল। কারণ ছিল সেই সাংবাদিক পরীমনির সিনেমার নিন্দে করেছিল। এমনকি পরিমণিকে সিনেমা করতে বাধা দিচ্ছিল। তখন এমন লোককে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তটি পরীমনি ঠিক নিয়েছিল।’
তসলিমা আরও জানিয়েছেন, তারপর এক পরিচালক তাকে (পরিমণিকে) বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় সে হঠাৎ করে এক রাতের নোটিশে বিয়ে করে ফেলেছিল। পরদিন সে বুঝতে পারে যে এ লোক তো সুবিধের নয়! তারপর শেষ পর্যন্ত তাকেও সে ছাড়তে বাধ্য হল। তারপর সুদর্শন এক পুলিশ অফিসারের প্রেমে সাড়া দেয়। সে পুলিশ অফিসারটি বলেছিল, সে অবিবাহিত। তারপর যখন জানতে পারে যে সে পুলিশ অফিসার বিবাহিত, তখন পরীমনি সরে আসে।’
এসক লেখায় তসলিমা নাসরিনকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন তার অনুরাগীরা। কেউ বলেছেন, ‘এক সময় ধারণা ছিল সৌন্দর্য মেয়েদের একটা শক্তি। তা তারা নিজেদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি, পুরুষশাসিত এই সমাজে মেয়েদের কোনো শক্তিই সুরক্ষিত নয়। অসহায় লাগে পরীমনির জন্য।’ অন্য আরেক জনের আক্ষেপ হলো, এ সময়ে পরীমনি কখন, কোথায়, কী করেছে এসব নিয়ে মিডিয়া খবর করলেও তার এই নির্যাতন নিয়ে কেউ কিছু লিখছে না