মাগুরা জেলার সদর ও শালিখা উপজেলার কয়েকজন যুবক বারোমাসি থাই আম চাষে সাফল্য পেয়েছেন। এই অসময়ে আম বাজারজাত হওয়ায় দামও অনেক বেশি পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ জেলায় থাই আম চাষের সাফল্যের কারণে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এ জাতের আমের চাষ।
এ সময়ে মাগুরার কয়েকটি আম বাগানে থোকায় থোকায় ঝুঁলছে আম। থাই জাতের এ আম পাকতে পাকতেই গাছে দেখা যাবে আমের নতুন গুটি। এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে থাই বারোমাসি জাতের আম বাগানে।
একজন আম চাষি বলেন, তিনি ২০১৮ সালের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে নিজের জমিতে থাই বারোমাসি আমগাছ রোপণ করেন। পরে একসময় গাছগুলোতে আম আসতে শুরু করে। আম পাকার পর সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের আগ্রহ ও চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়তে থাকে। এখন আমের সিজন শেষ হওয়ার মুহূর্তে নতুন আম বাজারে উঠায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়ে থাকে বলে। তাতে চাষিরাও খুব লাভবান।
আরও কিছু আম চাষি জানান, এখন প্রথম পর্যায়ে এক বিঘা জমিতে আমের চাষ করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ থেকে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বলে জানান চাষিরা।
মাগুরা জেলার হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ রোকনুজ্জামান জানান, মাগুরা জেলায় বর্তমানে প্রায় ৯০ বিঘা জমিতে বারোমাসি থাই আমের চাষ হচ্ছে। তবে একটি গাছ থেকে বছরে তিনবার আম সংগ্রহ করা যায়। এ আম পাকলেও তা প্রাকৃতিক উপায়েই অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।