১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, শনিবার

ভারতীয় টিকা কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের অনুমোদন

Advertisement

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের উদ্ভাবিত টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাংলাদেশে মানুষের ওপর ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি এ অনুমোদন দিয়েছে। অবশ্য এখনও পর্যন্ত টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকার তালিকায় নেই।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবি বেশ কয়েক মাস আগে এই টিকা ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির কাছে অনুমতি চেয়েছিল। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী কে জামান এ ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সেই বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা কোভ্যাক্সিন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এ টিকার উদ্ভাবক।

২৪ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন ছাড়াও এ পর্যন্ত ১৬টি টিকা প্রস্তুত করেছে এবং ১২৩টি দেশে সেসব টিকা রফতানি হয়।

চলতি বছর ৩ জানুয়ারি জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।

২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারী কোম্পানি হলো ভারতীয় টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট, যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার মূল উপাদান মৃত বা নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস, যা নিরাপদে মানবদেহে প্রবেশ করানো যায়। ভারত বায়োটেককে মৃত করোনাভাইরাসের নমুনা সরবরাহ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি।

গত জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারত বায়োটেক। সেখানে দেখা যায়, কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ মানবদেহে করোনা বা এ জাতীয় উপসর্গজনিত অসুখের বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রতিরোধী শক্তি গড়তে সক্ষম। যদিও শুরুর দিকে ভারত বায়োটেকের এই টিকাকে পানি বলে তর্কে মেতেছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালে।

ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, ফিলিপাইন, ইরান, মেক্সিকোসহ ১৬টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার বিষয়ক ছাড়পত্র পাওয়ার জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বায়োটেক।

তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিনের কোনো ডোজ আসেনি। চলতি বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। তবে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় এ আবেদনের পক্ষে ইতিবাচক বা নেতিবাচক- কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement