১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, বুধবার

হাওড়ে নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, এক আসামির স্বীকারোক্তি

Advertisement

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওড়ে স্বামীর সঙ্গে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনের মধ্যে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়ার ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত মিঠু মিয়া ইতোমধ্যে নিজের দোষ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। শুক্রবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড শুরু হয়।

তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। পলাতক প্রত্যেক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে র‌্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান রনি ও মিঠু মিয়াকে। এছাড়া পুলিশ গ্রেফতার করে শুভ মিয়াকে। এ ঘটনায় একই দিন ধর্ষিতা নববধূর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষক আসামিরা হলো- মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে মুড়াকড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২০) ও রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়- এক মাস আগে বিয়ে হয় মামলার বাদীর। স্ত্রীকে নিয়ে গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের হাওড়ে নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন। এ সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের কয়েকজন যুবক তাদের নৌকার গতিরোধ করে।

তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় যুবকরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement