রংপুরের পীরগাছায় মন্থনা জমিদারবাড়ির জরাজীর্ণ একটি টিনশেডের চিলেকোঠা ভাড়া নিয়ে চলছে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কার্যক্রম।
১৯৬৭ সালে স্থাপিত এই কার্যালয়ের নেই নিজস্ব কোনো ভবন। কার্যালয়ের অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি না হলেও ঘুষ বাণিজ্যে ফুলেফেঁপে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে সেখানকার সাবরেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি সরেজমিনে কার্যালয়টিতে গিয়ে জানা যায়, সেখানে নেই কোনো সিটিজেন চার্টার।
৩০০ টাকার হলফনামায় দলিল লেখক সমিতির নামে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। সাফ কবলা দলিলের সরকারি ফির বাইরে সেরেস্তা বাবদ এক হাজার ৫৪০ টাকা এবং হেবা দলিলে এক হাজার ৯৪০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। আর টিপ বাবদ দাতা একজন হলে ১০০, একাধিক হলে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি দলিল সম্পাদনে নেওয়া হয় এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এ ছাড়া দলিলের শ্রেণি গোপন করে কৌশলে পে অর্ডারের মাধ্যমেও ঘুষ গ্রহণের নজির মিলেছে। শুধু দলিল সম্পাদনে নয়, জাবেদা (নকল) কপিসহ অন্য কাগজপত্র তুলতেও দিতে হয় ঘুষ। এসব টাকা প্রকাশ্যে আদায় করেন নকলনবিশ সমিতির সম্পাদক আসাদুল ইসলাম। তাঁকে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী মাসুদা বেগম।
এ ছাড়া নৈশ প্রহরী থেকে শুরু করে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে জড়িত।