মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকায় পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে আবারো ফেরির ধাক্কা লেগেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ১০ নম্বর পিলারে আঘাত হানে ফেরি কাকলি। মঙ্গলবার থেকে ভারি যানবাহন নিয়ে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও ফের ঘটল এমন ঘটনা।
এর আগে সোমবার (০৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ১০ নম্বর পিলারে আঘাত হানে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। এ সময় ২০ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত একজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ২৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায় রো রো ফেরি শাহ জালাল। এতে ২০ জন যাত্রী আহত হন। ফেরিটি মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।
পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ফেরি ধাক্কার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সেতুর নিচ দিয়ে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেতুর নিচ দিয়ে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারবে বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেন, শুধুমাত্র হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারবে। আজকে থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি ধাক্কার ঘটনায় আমরা খুবই বিব্রত। তবে দুঃখজনক হলেও পরপর দুবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিমুলিয়া বাংলাবাজার রুটে তীব্র স্রোতের কারণে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেরি চলাচলে যে সক্ষমতা সেটা আমাদের নেই।
তিনি আরো বলেন, স্রোতের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোনো ভারী যানবাহন পারাপার হবে না হবে শিমুলিয়া বাংলাবাজার রুটে। অ্যাম্বুলেন্স ও হালকা যান পারাপার হবে। যাত্রীবাহী যান পারাপার হবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে। পণ্যবাহী যান পারাপারে চাঁদপুরের হরিণাকে ঘাট ব্যবহার করতে হবে। এসব ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো. দেলোয়ারুল ইসলাম ও হুইল সুকানি মো. আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (কারিগরি) মো. রাশেদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে রোরো ফেরি ‘শাহজালাল’র ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।