আলোচিত নায়িকা পরীমণির ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই ‘ওপেন সিক্রেট’। তার প্রেম ও বিয়ের গল্পগুলো কম-বেশি সবারই জানা। তবে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেছেন তিনি। এমনটাই জানা গেল গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে।
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বাসা থেকে আটক করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তাকে রিমান্ডের নেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ১৩ আগস্ট এই নায়িকাকে নেওয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে। করোনার কারণে তাকে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিন সেলে।
নিয়ম অনুযায়ী, কারাগারে পৌঁছানোর পর সেখানকার রেজিস্টারে বন্দীদের নাম-পরিচয় সব লেখা হয়। পরীমণির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।
১৪ আগস্ট সকালের দিকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একজন ডাক্তার। এরপর তার নাম-পরিচয় লিপিবদ্ধ করা হয়। ওই সময় কারা কর্মকর্তা তার অবস্থা জানতে চাইলে পরীমণি বলেছিলেন, মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। এছাড়া একসঙ্গে এতজন মিলে থাকতেও তার সমস্যা হচ্ছিল।
পরীর ওই কথার জবাবে কারা কর্মকর্তারা বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দী হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’
এরপর তার কাছে নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম এবং বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া হয়।
নাম বলার পর পরীমণি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড’। ওই তথ্যটিই লিপিবদ্ধ করা হয় রেজিস্টারে। জানা গেছে, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যেক বন্দীর নিজের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া আবশ্যক। নতুবা মুক্তির সময় জটিলতা সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, পরীমণির একাধিক বিয়ের খবর সারা দেশের মানুষ জানে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার সাবেক স্বামী দাবিকারী ব্যক্তিরাও বক্তব্য দিয়েছেন। ঢাকায় এসেও তিনি ২ বিয়ে করেন। ছোট বেলায় তার নানা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর সৌরভ নামের এক ব্যক্তিকে নিজ পছন্দে বিয়ে করেছিলেন বলে শোনা যায়। সেটাও টেকেনি।
গত বছরের মার্চে নির্মাতা কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেন পরীমণি। ৩ টাকা কাবিনের সেই বিয়েও কয়েক দিন পরই ভেঙে যায়।