মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া নায়িকা পরীমণি সদস্যপদ স্থগিতসহ তাকে নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভূমিকা বিতর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন সমিতির সাবেক সভাপতি ও চিত্রনায়ক শাকিব খান।
সাকিব খান গণমাধ্যমে বলেন, এর আগেও একাধিক সিনিয়র শিল্পী পরীমণির চাইতেও বড় অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু তখনকার শিল্পী সমিতি অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করেনি। বরং পাশে ছিল এবং সেসব মানুষদের মুক্তির জন্য আন্দোলনও করা হয়েছিলো। কিন্তু এখনকার শিল্পী সমিতির এসব আচরণ বিতর্কিত। আবারও বোঝা গেল, এই শিল্পী সমিতি সবাইকে এক করতে পারেনি; বরং বিচ্ছিন্ন করেছে। বিভেদ তৈরি করে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিবেশ নষ্ট করেছে। হয়ত এজন্য চলচ্চিত্রের আজ এই দুর্দশা। এমনিতেই বিভিন্ন কারণে সিনেমা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তার মধ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
শাকিব খান আরও বলেন, শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীকে গ্রেফতারের পর তার প্রতি কোনো ধরনের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেই সাথে পরীর সদস্যপদও স্থগিত করা হয়েছে। সমিতির এই আচরণ সত্যিই খুব রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে বিবেকবান অনেক সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের আক্ষেপ রয়েছে। শিল্পীর সাথে সংগঠনের এটি একটি অমানবিক আচরণ। প্রশ্ন থেকে যায়, এখনকার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাহলে কাদের স্বার্থে?
শাকিব খান বলেন, পরীমনির মামলা এখন বিচারাধীন থাকায় এই বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলছি না। সে যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছে, তার কী অপরাধ সেটা বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। দেশের প্রচলিত আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে সঠিক বিচার হবে আমি বিশ্বাস করি এই কথা। কিন্তু তার আগে পরীমনির জীবন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যেভাবে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, এটা সত্যি দুঃখজনক।
শাকিব আরও বলেন, সহশিল্পী হিসেবে আশা রাখি, পরীমনির ক্ষেত্রে আইন তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। পরীমনি যখন ফিরবে তার ভুল থেকে শিক্ষাও নেবে। যে শিক্ষা তার আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
পরীমনি প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, সহকর্মী হিসেবে যতদূর জানি পরীমনি বাবা-মা হীন। তার বেড়ে ওঠা পারিবারিকভাবে আর পাঁচটা তরুণ-তরুণীর বেড়ে ওঠা, স্ট্রাগলে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। হয়তো সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে পরীমনি অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
