আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও ব্যবসায়ী হেলেনা জাহঙ্গীরসহ সম্প্রতি গ্রেফতার ৬ জনের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ ও পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর গতকাল শনিবার পরীমণি ও ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের বাসায় নতুন করে তল্লাশি চালিয়ে এসব আলামত জব্দ করে সিআইডি।
এই অভিযানে পাসপোর্ট ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক।
চিত্রনায়িকা পরীমনি, ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, মডেল পিয়াসা ও মরিয়ম মৌ, চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, শরিফুল হাসান মিশুর বাসায় শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে তল্লাশি চলে।
এর আগে এই ব্যক্তিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েই গ্রেফতার করেছিল র্যাব ও পুলিশ। তখন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানিয়ে মামলা হয়। সেই মামলাগুলোর তদন্ত করছে সিআইডি।
সিআইডি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, আমাদের একাধিক টিম একসঙ্গে ৬ জনের বাসায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু সামগ্রী জব্দ করেছে। এটাকে আমরা তল্লাশি অভিযান বলছি।
আমরা এসব বাসা থেকে পাসপোর্ট, ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছি।
মাদক বা এ ধরনের কোনো কিছু পাওয়া গেছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেসব কিছু পাওয়া যায়নি। তবে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামে সংগঠন করে আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর। তাকে ২৯ জুলাই তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে মদ, হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি ও পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়।
পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌ নামে কথিত দুই মডেলকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর এবং গুলশান থানায় মাদকের মামলা হয়।
এরপর র্যাব গত মঙ্গলবার ‘ডিজে পার্টি’ আয়োজনের আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফুল হাসান ওরফে মিশুকে গ্রেফতার করে।
পরদিন পরীমনি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা ছাড়াও রাজের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে আরেকটি মামলা হয়।
পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, রাজ, শরিফুল হাসান মিশুর বিরুদ্ধে একটি করে মামলা এবং হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার তদন্তভার এখন সিআইডির কাছে।
শুক্রবার এসব মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই শনিবার তাদের বাসায় অভিযান চালায় সিআইডি। এই ৬ জনের মধ্যে চারজন এখন সিআইডি হেফাজতে রয়েছে।