২৭ মার্চ, ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে প্রথম সেশন শেষ করলো বাংলাদেশ

Advertisement

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। উদ্বোধনী টেস্টের উদ্বোধনী সেশনেই বাংলাদেশ দল পড়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে।

ম্যাচ শুরুর খানিক পর দেখা গেল, ধোঁয়া উড়ছে সাগরিকার এক পাশে। অল্প সময়ের মধ্যেই জানা গেল, স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি ভবনে লেগেছে আগুন। প্রথম সেশনে সেই আগুন দেখা গেল সাগরিকার ক্রিজেও, যে আগুন পাকিস্তানের অগ্নিঝরা বোলিংয়ের!

সাগরিকা টেস্টের ব্যাপ্তি কতদিন হবে, কিংবা কত তাড়াতাড়ি এই ম্যাচ শেষ হবে- সেই প্রশ্ন উঠে গেছে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) প্রথম সেশনেই। বাংলাদেশ প্রথম সেশন শেষ করেছে ৬৯ রান নিয়ে, বিনিময়ে হারিয়ে ফেলেছে চারটি উইকেট। এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৮ ওভার।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সবার আগে হারায় সাইফ হাসানকে। শাহীন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে বলে হকচকিয়ে ওঠা সাইফ ক্যাচ তুলে দেন। ফলে তিনটি চারের সহায়তায় ১২ বলে ১৪ রান করা সাইফ ক্যারিয়ারের দশম ইনিংসটাও শেষ করলেন সাদামাটাভাবে।

আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও ১৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান, ফাহিম আশরাফের বলে শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচ তালুবন্দী করেন সাজিদ খান।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। উদ্বোধনী টেস্টের উদ্বোধনী সেশনেই বাংলাদেশ দল পড়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়ে।

শান্তর আগেই অবশ্য সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। সাইফ, সাদমান, শান্ত- তিনজনই ১৪ রান করে থামলেও মুমিনুল হক দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি। সাজিদ সেবার ছিলেন উইকেটশিকারির ভূমিকায়, ক্যাচ লুফেছেন উইকেটরক্ষক ও সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৯ বলের মোকাবেলায় মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।

১৯ রানে প্রথম, ৩৩ রানে দ্বিতীয়, ৪৭ রানে তৃতীয় ও ৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের বিপর্যয় এড়াতে লড়ছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দুইজনই অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছেন। মুশফিক ৪০ বলে ৫ ও লিটন ৩২ বলে ১১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম দিনের ১ম সেশন শেষে)
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ : ৬৯/৪ (২৮ ওভার)
সাইফ ১৪, সাদমান ১৪, শান্ত ১৪, লিটন ১১*, মুমুনিল ৬, মুশফিক ৫*
সাজিদ ৯/১, ফাহিম ১৩/১, শাহীন ১৬/১, হাসান ২২/১

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement