কারচুপির অভিযোগ ও বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৪ টি ইউনিয়নের সবকটিতে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নির্বাচনে তিনটি ইউনিয়নের রাহয়ানপুর, নাচনাপাড়া ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে বেসরকারী ভাবে নৌকা প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
আজ রবিবার নভেম্বর উপজেলার রায়হানপুর, নাচনাপাড়া, চরদুয়ানী ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৬২ হাজার ৬৮৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। চরদুয়ানী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েল নির্বাচিত হোন। পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে ভোটারগণ ই বি এমে ভোট প্রদাণ করেন এবং বাকী তিনটি ইউনিয়নের ভোটারগণ ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন।
রায়হানপুর ইউনিয়নে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ মাইনুল ইসলাম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭,৮৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম ৯৫৭ ভোট। এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১২৫৮২।
নাচনাপাড়া ইউনিয়ন থেকে বে-সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ ফরিদ মিয়া। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭,৮৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের মোঃ আতিকুর রহমান পেয়েছেন ৯৫৭ ভোট। এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৯৮৩১।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে ই বি এমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২১,৫৮৮ জন। এখানে ভোটারদের কে প্রথম বলা হয়েছিল কেন্দ্রে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে যেতে। গতকাল সন্ধ্যায় তারা জানতে পারেন কেন্দ্রের ভিতরে ভোটার তালিকার নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে আসতে। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় প্রার্থীদের পড়তে হয় নানান রকমের বিড়ম্বনায়। যার ফলে অনেকক্ষন অপেক্ষা করে তালিকায় সিরিয়াল নম্বর পেতে দেড়ী হওয়ায় অনেকেই বাড়ী চলে যান এবং ভোট প্রদানেও অনেকটা বিলম্বিত হয়।
এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ আলমগীর হোসেন ১৩,৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান মোঃ মতিউর রহমান মোল্লা পেয়েছেন ৬৮৪ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইবার নির্বাচিত সহ বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ পেয়েছেন ২৯০ ভোট।
আজ সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ আরম্ভ হয়। প্রথমে ভোটারদের উপস্হিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ যোগ্য পরিমাণে। ১ নং রায়হানপুর ইউনিয়নের সতকার বেতমোর ভোট কেন্দ্রে একটি বুথে নৌকা প্রার্থীর পিতা মোঃ আঃ মান্নান ব্যালট পেপারে গিয়ে ৪টি ব্যালটে সিল মারলে তা দ্রুত ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এসময় নির্বাহী মেজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম ঐ ৪ টি ব্যালট বাতিল ঘোষণা করেন বলে কেটিভি প্রতিদিন কে নিশ্চিত করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আইউব আলী।
মাহমুদ হাসান তাপস/বরগুনা/সারাবাংলা ডেস্ক