২১ জানুয়ারি, ২০২৫, মঙ্গলবার

পুলিশের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন মেয়র

Advertisement

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বরিশাল কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম। দুই মামলায় সাদিক আব্দুল্লাহ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, সাধারণ মানুষকে মারধর, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের অপরাধে এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলাটিতে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ ৮০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

ইউএনওর মামলায় অভিযোগ উপস্থাপন করা হয় যে, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে উপজেলা কম্পাউন্ডে শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার সময় বারণ করা হলে সংঘবদ্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালানো হয়।

এই মামলায় যেসব আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হচ্ছেন ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, আতিকুল্লাহ মুনিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাত, রইজ আহম্মেদ মান্না, বিসিসি মেয়রের পিএস সুমন সেরনিয়াবাত, মনির সরদার, ফাইজুল সেরনিয়াবাত, বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস, ২৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জগলুল মোর্শেদ প্রিন্স। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি নূরুল ইসলাম বলছেন, এখন পর্যন্ত ১২ আসামিকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন তারা, দ্রুতই বাকিদের গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement